ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে শেষ দিনের বৈঠকে বিএনপি

ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে শেষ দিনের বৈঠকে বিএনপি

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের ভবিষৎ করণীয় নির্ধারণে মাঠের নেতাদের মতামত নিতে ধারাবাহিক বৈঠক করছে বিএনপি। এরই অংশই হিসেবে দ্বিতীয় দফায় শেষ দিনের বৈঠকে বসছে দলটির হাইকমান্ড।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুরু হওয় বৈঠকে অংশ নিয়েছেন রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগের বিএনপি নির্বাহী কমিটি সদস্য ও জেলা বিএনপি সভাপতিরা।

এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া বৈঠক উপস্থিত আছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

বৈঠকে সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত আছেন নজরুল ইসলাম মোল্লা, নাজিম উদ্দীন আলম,হাফিজ ইব্রাহিম, আবুল হোসেন, মেসবাহউদ্দিন ফরহাদ, আব্দুস সোবহান, গাজী নুরুজ্জামান বাবুল,আলমগীর হোসেন, হাসন মামুন, রফিক ইসলাম মাহতাব, হায়দার আলী লেলিন, দুলাল হোসেন, গোলাম নবী আলমগীর, নাসের রহমতুল্লাহ, এলিজা জামান,কামরুল ইসলাম সজল,ডাক্তার শহীদ হাসান, আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া,মাসুদ অরুণ, শহিদুল ইসলাম, রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, শহীদুজ্জামান বল্টু,আব্দুল ওয়াহাব, শাহানা রহমান রানী, আবুল হোসেন আজাদ, মতিউর রহমান ফরাজি প্রমুখ।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বেলা ৪টা থেকে বৈঠক শুরু হয়েছে। সভায় রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ৮৬ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন। বৈঠকের শুরুতে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স। সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রথম দফায় ধারাবাহিক বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান, উপেদষ্টা পরিষদের সদস্য, যুগ্ম মহাসচিব, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার আগে ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল। তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে এবারই প্রথম সিরিজ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন